ইসলামের দৃষ্টিতে ইহুদি জাতির উৎপত্তি ও পরিচয়।
📰 খবর: ইসলামের দৃষ্টিতে ইহুদি জাতির উৎপত্তি ও পরিচয়
🗓 প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৫ | 📍 আন্তর্জাতিক ডেস্ক
![]() |
"ইসলামের দৃষ্টিতে ইহুদি জাতির উৎপত্তি ও পরিচয় – মধ্যস্থলে স্টার অব ডেভিড এবং দুই পাশে ইসলামি প্রতীক" |
ইহুদি জাতি পরিচয়:
ইহুদি জাতি একটি প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী, যাদের শিকড় মূলত মধ্যপ্রাচ্যের লেভান্ত অঞ্চল—বিশেষ করে প্রাচীন ইস্রায়েল ও যিহূদা (Judea) রাজ্যে—স্থাপিত। ইহুদি জাতিকে একটি ধর্মীয়, জাতিগত ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
---
🕍 ধর্মীয় পরিচয়:
ইহুদিদের ধর্ম ইহুদিবাদ (Judaism) — এটি বিশ্বের প্রাচীনতম একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোর একটি। তারা বিশ্বাস করে:
একমাত্র ঈশ্বর (Yahweh বা Adonai) আছেন।
ঈশ্বর মুসাকে (মোশে) তোরা (Torah) প্রদান করেছেন।
তারা ঈশ্বরের নির্বাচিত জাতি।
---
🌍 জাতিগত ও ভাষাগত পরিচয়:
ইহুদিরা মূলত হিব্রু ভাষাকে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে।
ইহুদিদের জাতিগত পরিচয় বহু দেশের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে—যেমনঃ ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইরান, ইথিওপিয়া প্রভৃতি।
ইহুদি জাতির অন্তর্গত বিভিন্ন উপগোষ্ঠী রয়েছে:
অ্যাশকেনাজি (ইউরোপীয়)
সেফার্দি (স্পেন-উৎপন্ন)
মিজরাহী (মধ্যপ্রাচ্য-উৎপন্ন)
বেটা ইসরায়েল (ইথিওপীয়)
---
🕎 ইহুদি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য:
ইহুদিদের ধর্মীয় আইনকে বলা হয় হালাখা (Halakha)।
প্রধান ধর্মগ্রন্থ:
তোরা (Torah) – বাইবেলের প্রথম ৫টি গ্রন্থ
তানাখ – ইহুদি বাইবেল
তালমুদ – ধর্মীয় আলোচনা ও ব্যাখ্যার সংগ্রহ
ধর্মীয় উৎসব:
ইহুদী নববর্ষ (Rosh Hashanah)
ইয়োম কিপুর (Yom Kippur)
পেসাখ (Passover)
🕋 ইসলামে ইহুদি জাতির পরিচয় কী?
ইহুদি জাতি এক প্রাচীন ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠী, যাদের ইসলামে "বানী ইসরাইল" নামে চিহ্নিত করা হয়। কুরআন ও হাদিসের আলোকে এই জাতির উৎপত্তি, ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
Descri
📜 কে ছিলেন ইসরাইল?
ইসলাম ধর্মমতে, ইসরাইল হলেন হজরত ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম)। তিনি ছিলেন হজরত ইসহাক (আঃ)-এর পুত্র এবং হজরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর নাতি। তাঁর ১২ পুত্রের বংশধরদেরকেই বলা হয় "বানী ইসরাইল" — যারাই ইহুদি জাতির পূর্বপুরুষ।
---
📖 কুরআনের আলোকে ইহুদি জাতির ইতিহাস:
ইসলামে ইহুদি জাতিকে বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের অতীত সম্পর্কে বলা হয়েছে:
আল্লাহ তাদের মধ্যে অনেক নবী পাঠিয়েছেন:
মূসা (আঃ), হারুন (আঃ), দাউদ (আঃ), সুলাইমান (আঃ), ঈসা (আঃ) প্রমুখ।
তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত তাওরাত কিতাব পেয়েছিল।
আল্লাহ তাদেরকে মিসরের ফেরাউনের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং সমুদ্র ফাটিয়ে পথ করে দিয়েছিলেন।
---
❌ ইহুদি জাতির অবাধ্যতা
ইসলামের দৃষ্টিতে, ইহুদি জাতি শুরুতে ঈমান আনলেও পরবর্তীতে বহুবার:
নবীদের অমান্য করেছে,
ঈমান হারিয়েছে,
এমনকি কিছু নবীকে হত্যা করেছে (কুরআন, সূরা বাকারা)।
তারা ঈসা (আঃ)-কে নবী হিসেবে অস্বীকার করে এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনেনি।
---
📚 "আহলুল কিতাব" হিসেবে মর্যাদা
তবে ইসলাম তাদের সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়নি। বরং, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের একত্রে "আহলুল কিতাব" (গ্রন্থধারী জাতি) বলা হয়।
মুসলিম পুরুষরা আহলুল কিতাব নারীদের বিবাহ করতে পারেন (বিশেষ শর্তে), এবং তাদের কিছু খাবার হালাল হিসেবে গণ্য হয়।
---
🇮🇱 আধুনিক ইহুদি রাষ্ট্র: ইসরায়েল
বর্তমানে ইহুদি জাতির জাতীয় রাষ্ট্র হল ইসরায়েল, যা ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, এই রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করেই আজ বিশ্বব্যাপী বহু দ্বন্দ্ব ও সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে – বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে।
---
🤲 ইসলামের বার্তা
ইসলামের দৃষ্টিতে, বানী ইসরাইল জাতি আল্লাহর পক্ষ থেকে বহু নিয়ামত ও নির্দেশ পেয়েছে, কিন্তু তারা যদি ঈমান না আনে এবং নবীদের অনুসরণ না করে, তাহলে তারা পরিত্রাণ পাবে না। তাই আল্লাহ মুসলিমদের সতর্ক করেছেন যাতে তারা ইহুদিদের পথ অনুসরণ না করে।
---
🧾 সারসংক্ষেপ:
বিষয় বর্ণনা
জাতির নাম ইহুদি (বানী ইসরাইল)
পিতা ইয়াকুব (আঃ), উপাধি: ইসরাইল
ধর্মীয় কিতাব তাওরাত
প্রেরিত নবী মূসা, দাউদ, ঈসা প্রমুখ
ইসলামী পরিচয় আহলুল কিতাব
বর্তমান রাষ্ট্র ইসরায়েল
কুরআনে উল্লেখ ইতিবাচক ও নেতিবাচক — উভয়ভাবে।
📝 Meta Descripti
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ