📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।

রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতায় ভারত হারালো যুদ্ধবিমান? ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য, অপারেশন সিন্ধুর ঘিরে নীরব সরকার।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই ভেঙে পড়ল ভারতের যুদ্ধবিমান? অপারেশন সিন্ধুরে চমকপ্রদ মোড়, নীরব সরকার

নয়াদিল্লি, ৩০ জুন ২০২৫: ভারতের সামরিক মিশন অপারেশন সিন্ধুর চলাকালীন দুটি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তও এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ও বিরোধীরা বলছেন, রাজনৈতিক চাপেই তড়িঘড়ি মিশন চালু করা হয়, যার ফল ভয়াবহ।

কী ছিল অপারেশন সিন্ধুর?

‘অপারেশন সিন্ধুর’ ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি গোপন সীমান্ত অভিযান। এই মিশনের লক্ষ্য ছিল সীমান্তবর্তী শত্রু ঘাঁটিগুলিতে নজরদারি ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া। এতে ব্যবহৃত হয় রাফেল, সুখোই-৩০MKI ও মিরাজ-২০০০ ধরনের উন্নত যুদ্ধবিমান।

রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতায় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস, প্রতীকী ছবি
প্রতিকী চিত্র: অপারেশন সিন্ধুর সময় রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ভারতের যুদ্ধবিমান হারানোর অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক।

কিন্তু অপারেশন শুরুর পরপরই দুটি যুদ্ধবিমান রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। একটির ধ্বংসাবশেষ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে, অপরটির আংশিক ধ্বংসাবশেষ প্রতিবেশী দেশের সীমানায় ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে পাওয়া যায়।

দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ — যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি নেতৃত্বের ভুল?

প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল কি?

প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিকদের মতে, এই ধরনের উন্নত যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে ভেঙে পড়া খুব অস্বাভাবিক। তাঁদের মতে, “উড়ানের আগে প্রত্যেকটি বিমান ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়। একসঙ্গে দু’টি বিমানের যান্ত্রিক সমস্যা খুবই সন্দেহজনক।”

রাজনৈতিক তাড়াহুড়ো ও পরিকল্পনার ঘাটতি

সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক চাপে এই মিশন সময়ের আগেই শুরু করা হয়। পাইলটরা যথাযথ প্রস্তুতির সুযোগ পাননি এবং সঠিক গোয়েন্দা তথ্যও ছিল না।

বিরোধীদের সরাসরি অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে

বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

বিরোধী দলগুলি বলছে: “এটা শুধুমাত্র বায়ুসেনার নয়, গোটা সরকারের ব্যর্থতা। প্রস্তুতি ছাড়াই সরকার মিশন চালু করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

নির্দেশনার সীমা ও বিমানবাহিনীর অক্ষমতা

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল—পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে কোনো সরাসরি আক্রমণ করা যাবে না।

ফলে ভারতীয় বিমানবাহিনী তাদের সম্পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারেনি এবং সীমিত পরিসরে আক্রমণে বাধ্য হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্দেশনা সামরিক কৌশলের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের একটি উদাহরণ হয়ে থাকল।

জানা যায়, ৭ মে রাতে ভারত ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাল্টা জবাবে ভারতের ৫-৬টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে, যার মধ্যে অন্তত ৩টি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট।

এই তথ্যের পর সামরিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—যদি পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হতো, তবে কি এই ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যেত?

সংসদে তুমুল হইচই

সংসদে এই ইস্যুতে ব্যাপক হইচই হয়। বিরোধীরা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। তবে সরকার এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো বিস্তারিত বিবৃতি দেয়নি।

প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি — প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের মন্তব্যে চাঞ্চল্য

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় এক সেমিনারে ভারতের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি বলেন: “রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণেই অপারেশন সিন্ধুর চলাকালে পাকিস্তানের কাছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মূল্যবান যুদ্ধবিমান হারাতে হয়েছে।”

এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা অ্যাটাশের বক্তব্য শুধু এই অভিযোগেরই সমর্থন করছে না যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ক্ষতি হয়েছে, বরং তা সরকারের চুপ থাকার কারণ নিয়ে আরও প্রশ্ন জাগাচ্ছে।

সরকারের নীরবতা — প্রশ্ন বাড়ছে

সরকারের পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে যে, “ঘটনার তদন্ত চলছে।” কিন্তু কোনো প্রেস কনফারেন্স বা স্বচ্ছ বিবৃতি এখনও পর্যন্ত আসেনি।

জনগণ ও মিডিয়ার প্রশ্ন:

  • সরকার কি কিছু লুকোচ্ছে?
  • রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতে কি সেনার সাফল্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে?

সেনার মনোবল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অসন্তোষ

সেনার একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করে জানান, এমন তাড়াহুড়োর মিশনে অংশ নেওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। সেনাবাহিনীর মনোবলে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে।

ভবিষ্যৎ সামরিক অভিযানে প্রভাব

যদি তদন্তে প্রমাণ হয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই মূল কারণ, তবে ভবিষ্যতের সব সামরিক সিদ্ধান্তে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশেষ সুত্রে খবর : বিশেষ জানতে এখানে পড়ুন।

বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

  • এয়ার মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আর.কে. মেহতা বলেন: “রাজনৈতিক নেতাদের উচিত সেনা অভিযানে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ না করা।”
  • সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট নিধি রায় বলেন: “সরকারের উচিত অবিলম্বে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা।”

উপসংহার — স্বচ্ছতাই জনগণের প্রাপ্য

এই ঘটনাটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়। এটি তুলে ধরছে দেশের প্রতিরক্ষা সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কতটা স্বচ্ছতা আছে। সরকার যদি সত্যিই দায় এড়াতে চায় না, তবে তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

🕊️ BreakingNewsTodays.in-এর বিশেষ প্রতিবেদন। আরও আপডেটের জন্য আমাদের ফলো করুন।

📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: skmdsamimsms@gmail.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ