মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'
মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং) ষড়যন্ত্র করেছিল বলে 'ওয়াশিংটন পোস্ট' এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারণায় মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য তিনি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ান।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, 'র' এর নির্দেশে কিছু ভারতীয় প্রতিনিধি মালদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন এবং মুইজ্জুকে অভিশংসনের পরিকল্পনা করেন। তবে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ এই ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেছেন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মালদ্বীপের বর্তমান প্রশাসনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই ঘটনার পর মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অভিযোগ দুই দেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই অভিযোগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। বিরোধী দলগুলো এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে এই ধরনের অভিযোগ ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
মালদ্বীপের সাধারণ জনগণের মধ্যেও এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে কিছু মানুষ বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবে দেখছেন।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সরকারকে কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত, যাতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ