মহারাষ্ট্রের মসনদে সিংহাসনে বসবেন কে?
আর মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে ফলাফল। কিন্তু এর মাঝে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে। শাসকদল মহায়ুতি জোট এবং বিপক্ষ মহাবিকাশ আগাড়ি, দু’পক্ষ জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে দু’পক্ষই দোলাচলে। রাজ্য BJP প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, তাঁর দলের সকলেই চাইছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসুন। আবার শিন্ডে শিবিরের সমর্থকদের দাবি, ফের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক একনাথ শিন্ডেকেই। চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বলেন, ‘জোটের তিনটি দল বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’
১৫২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল BJP। তার মধ্যে শ’খানেক কেন্দ্রে জয় নিয়ে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। মহায়ুটি জোট যখন মুখ্যমন্ত্রী জোট নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি, তখন BJP এককভাবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হয়ে সওয়াল করে গিয়েছে প্রচার পর্বে। ২০২২ সালে একনাথ শিন্ডেকে কুর্সি ছেড়ে দিয়ে কার্যত আপোস করে নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফলে এ বার সুযোগ পেলে তিনি ক্ষমতা হাতছাড়া করবেন না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।
![]() |
দেখার বিষয় কে হবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী |
সঞ্জয় শিরসতের মতো শিন্ডে শিবিরের নেতারা যদিও দাবি করছেন, একনাথ শিন্ডেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলেও দাবি দলের নেতা-কর্মীদের। প্রচার পর্বে জোটের অন্দরে কোনও দ্বন্দ্ব নেই তা প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন একনাথ শিন্ডে। তিনি একাধিকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, জয়ের পর সকলে একসঙ্গে বসে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একাধিক এগজ়িট পোলে মহায়ুতি জোটের ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু কিছু বুথফেরত সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, মহারাষ্ট্রে এ বার ত্রিশঙ্কুর সম্ভাবনা।অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে মহাবিকাশ আগাড়ি শিবিরেও। রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান নানা পাটোলে বলেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্বেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হবে। কংগ্রেস থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসনে (১০২) লড়েছে কংগ্রেস। ফলে এই দলই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার।’ যদিও পরে ইউ-টার্ন নেন নানা পাটোলে। নিজের অবস্থান বদলে তিনি জানান, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার হাইকমান্ড নেবে।
নানা পাটোলের আগের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন জোটসঙ্গী উদ্ধবপন্থী নেতা সঞ্জয় রাউত। হাইকমান্ডের বক্তব্য ছাড়া তিনি কী ভাবে এমন কথা বলে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। আবার আদিত্য ঠাকরে সংবাদমাধ্যমে বাবা উদ্ধবের হয়ে জোরাল সওয়াল করেছিলেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, অজিত পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে..., একাধিক নাম নিয়ে দুই পক্ষেই চলছে জল্পনা। যদিও শেষ পর্যন্ত আঘাড়ী ক্ষমতায় এলে উদ্ধব শিবির কোনও অবস্থাতেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়বে না বলে তাঁদের ধারণা। পাঁচ বছর আগে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত এনসিপির সঙ্গে ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জোট সরকারে শামিল হয়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদ পেয়েছিলেন উদ্ধব। উপমুখ্যমন্ত্রী হন শরদের ভাইপো অজিত। অজিত বিজেপির সহযোগী হওয়ায় শরদ শিবিরের কোনও নেতা এখন মুখ্যন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেই। পাটোলের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে শুক্রবার উদ্ধবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, সিদ্ধান্ত নিবেন কংগ্রেসে সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী নেবেন।’’
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ