📰 অপারেশন সিঁদুরে ধাক্কা: ট্রাম্প-পুতিনের সমালোচনার মুখে মোদী, ভোটে শেষ ভরসা কি তেরঙ্গা?
🟠 Meta Description:
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনায় মোদী সরকার। ট্রাম্প ও পুতিনের মন্তব্যে চাপে প্রধানমন্ত্রী। তাহলে ভোটে মোদীর হাতিয়ার কী? জাতীয়তাবাদই কি শেষ অস্ত্র?
🔴 অপারেশন সিঁদুর: একটি সামরিক পদক্ষেপ না প্রচার কৌশল?
২০২৫-এর শুরুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। মোদী সরকার একে দেশরক্ষার একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে তুলে ধরেন। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়, এটি ছিল একটি সফল সীমান্ত অভিযান, যা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। কিন্তু ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই অপারেশন প্রচারের জন্য যতটা বেশি আলোচনায় এসেছে, ততটাই প্রশ্ন উঠেছে এর বাস্তবিক প্রয়োজন ও সময় নিয়ে। নির্বাচনের ঠিক আগে এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ কি শুধুই কাকতালীয়? এই প্রশ্নও তুলেছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
🔵 আন্তর্জাতিক মহলে মোদীর প্রতি আস্থার সংকট?
▶️ ট্রাম্পের মন্তব্য:
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“মোদীর সামরিক প্রচারণা এক ধরনের রাজনৈতিক চমক, যা ভোট টানার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
এই বক্তব্যটি শুধু ভারতীয় রাজনীতিতে নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়। ট্রাম্পের মতো একজন প্রাক্তন মিত্র যখন প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করেন, তখন তা মোদী সরকারের কূটনৈতিক ভাবমূর্তিতে প্রশ্ন তোলে।
▶️ পুতিনের অসন্তোষ:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন,
“আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তির প্রশ্নে রাজনৈতিক স্বার্থে সামরিক অভিযান প্রচার করা অনুচিত।”
ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ হলেও, এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়— আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও মোদী সরকারের অবস্থান এখন কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।
🟢 অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চাপ
ভারতের মধ্যে মোদী সরকারের ওপর চাপ আরও বেশি। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষক অসন্তোষ, এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ছাঁটাইয়ের মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত জনগণ। ফলে অনেকেই মনে করছেন, অপারেশন সিঁদুর আসলে মোদী সরকারের "ইলেকশন স্টান্ট" মাত্র।
▶️ বিরোধীদের অভিযোগ:
বিরোধী দলগুলোর দাবি,
“জাতীয়তাবাদকে অস্ত্র করে সরকার আসল ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে।”
▶️ মিডিয়া ভূমিকা:
অনেক জাতীয় মিডিয়া চ্যানেল অপারেশন সিঁদুরকে প্রধান হেডলাইন করে তুলে ধরলেও, স্বাধীন ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে এর সমালোচনা স্পষ্ট। প্রশ্ন উঠেছে— এই অপারেশনের তথ্য কতটা স্বচ্ছ, কতটা যাচাইযোগ্য?
🟣 মোদীর হাতে আর কী অস্ত্র আছে?
🏳️ শেষ ভরসা: তেরঙ্গা পতাকা?
যখন আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে এবং অভ্যন্তরীণভাবে সমর্থন টালমাটাল, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে যে কৌশলটি বারবার ব্যবহার হয়েছে, তা হলো জাতীয়তাবাদ।
‘হর ঘর তিরঙ্গা’, ‘বিজয় সংকল্প যাত্রা’, ‘ভারত মাতা কি জয়’— এই ধরনের ক্যাম্পেইন আবার শুরু হয়েছে।
মোদী সরকারের স্ট্র্যাটেজিতে ফের দেখা যাচ্ছে:
-
সীমান্তরক্ষীদের ছবি,
-
স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক,
-
সেনা বাহিনীর বীরত্বগাথা।
এই সবের মাধ্যমে মানুষের আবেগে ছোঁয়া দিতে চাইছে সরকার।
🟡 জনগণের চোখে কি এসব কার্যকর?
বিগত ১০ বছরে জাতীয়তাবাদ অনেক সময়েই মোদীকে ভোট এনে দিয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা।
-
দেশের ভেতরে আরও অনেক সমস্যা প্রকট।
-
সোশ্যাল মিডিয়াতে তথ্য যাচাইয়ের চর্চা বেড়েছে।
-
তরুণ প্রজন্ম চটকদার প্রচারের বদলে বাস্তব উন্নয়ন চায়।
এমন প্রেক্ষাপটে শুধু জাতীয় পতাকা দেখিয়ে আর কতদূর যাওয়া যাবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
🔵 তিরঙ্গার রাজনীতি: ইতিহাসে নজির আছে
জাতীয় পতাকা সবসময়ই আবেগের প্রতীক। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার নতুন নয়।
-
২০০৪ সালে ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ ক্যাম্পেইনে ভারতীয় গর্ব তুলে ধরেছিল বিজেপি, কিন্তু ভোটে হারতে হয়েছিল।
-
২০১9 সালে পুলওয়ামা ও বালাকোট হামলার পর সেনাবাহিনী ও জাতীয়তাবাদ প্রচারে সাহায্য করেছিল।
কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক সমালোচনার সঙ্গে জনগণের জিজ্ঞাসা যুক্ত হয়ে গেছে। ফলে তিরঙ্গার কৌশল কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
🟤 উপসংহার: মোদীর জন্য কঠিন পথ
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজনৈতিক লড়াইয়ের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প ও পুতিনের সমালোচনার পর সেই প্রচারে ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
জাতীয়তাবাদ এবং তেরঙ্গা পতাকা এখনও মোদীর শক্তিশালী অস্ত্র হতে পারে, কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে— তা নির্ভর করছে জনগণের বর্তমান মনের অবস্থার উপর।
জনগণ কী চাইছে— আবেগ নাকি বাস্তব উন্নয়ন? সেটাই ঠিক করে দেবে ২০২৫-এর ভারতের ভবিষ্যৎ পথ।
আরও খবর পড়ুন ঃ চীন কীভাবে ভারতকে ঘিরে ফেলছে? পাকিস্তান কিনছে চীনের J-35 স্টেলথ ফাইটার।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ