📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।

এক রাস্তায়’ যুক্ত চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তান, ক্ষুদ্ধ ভারত জানাল কড়া বার্তা।

এক রাস্তায়’ যুক্ত চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তান, ক্ষুদ্ধ ভারত জানাল কড়া বার্তা।

বিস্তারিত খবরের আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। 

চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একযোগে যুক্ত হচ্ছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর মাধ্যমে। ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া, আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়। বিস্তারিত পড়ুন।

"চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নেতাদের বৈঠক BRI প্রকল্প নিয়ে"
চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত।।

"চীনের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন চীনা প্রতিনিধি, যেখানে বেসংগৃহীত ন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এ তিন দেশের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।"


এক রাস্তায়’ চীন-পাকিস্তান-আফগানিস্তান, চাপে ভারত।

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনা। চীন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান একসাথে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)’ প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিন দেশ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করতে চাইছে, যা কেবল পরিকাঠামোগত সংযোগই নয়, বরং রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

BRI কি এবং কেন এত বিতর্কিত?

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা BRI একটি বৈশ্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, যার লক্ষ্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপকে রেলপথ, সড়ক ও বন্দর ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত করা। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প শুরু করে চীন।

তবে BRI নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ রয়েছে। এই প্রকল্পে ঋণ ফাঁদে পড়ছে অনেক দেশ। পাশাপাশি চীনের প্রভাব বিস্তার ও নিরাপত্তার হুমকির বিষয়টিও সামনে এসেছে বারবার।

আফগানিস্তান কেন BRI-তে আগ্রহী?

আফগানিস্তান বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। তালিবান শাসনের অধীনে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। চীন তাদের জন্য একটি আর্থিক সুযোগ। পাকিস্তান ও চীনের মাধ্যমে তারা বেল্ট অ্যান্ড রোডে যুক্ত হয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের আশা করছে।

তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

পাকিস্তান ও চীনের যৌথ কৌশল

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চীনের সঙ্গে CPEC (China–Pakistan Economic Corridor) প্রকল্পে যুক্ত। এই প্রকল্প ভারতের জন্য সবসময়েই কৌশলগত হুমকি। কারণ, এটি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।


চীন এবার আফগানিস্তানকেও যুক্ত করতে চায় সেই করিডোরে। এতে করে গোটা অঞ্চলে চীনের একটি সোজাসাপ্টা করিডোর তৈরি হয়ে যাবে—চীনের জিনজিয়াং থেকে পাকিস্তানের গ্বাদর বন্দরে, আফগানিস্তান হয়ে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া – কড়া বার্তা চীনকে

ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে:

“আমরা বারবার বলেছি, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক প্রকল্প চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা চীন এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।”

আরও খবর পড়ুনঃ ভারতের বড় ধাক্কা! বিশ্বব্যাংক থামিয়ে দিল চুক্তি স্থগিতের প্রক্রিয়া।


ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, BRI প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে কৌশলগত মূল্য দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে কী বোঝা যাচ্ছে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানকে যুক্ত করার মাধ্যমে চীন শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক দখলদারি বাড়াতে চাইছে। পাকিস্তান তো চীনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র, আর তালিবান সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পেলেও চীনের সমর্থন পেতে মরিয়া।

দিল্লি-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. অনুপম ঘোষ বলেন,

“চীন এই করিডোর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে খনিজসম্পদ আহরণ করতে চায়। একইসঙ্গে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকা ও ভারতের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশল নিচ্ছে।”

ভারতের কৌশলগত বিকল্প কী হতে পারে?

ভারত ইতিমধ্যেই চাবাহার বন্দরে ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে, যা মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সংযোগ রক্ষা করতে পারে। এছাড়া, International North-South Transport Corridor (INSTC) প্রকল্পের মাধ্যমেও বিকল্প সংযোগ তৈরি হচ্ছে।


ভারত চাইছে, পারস্পরিক আস্থা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর ভিত্তি করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক মহলে এই তিন দেশের ঐক্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপান সতর্কভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানকে তালিবান শাসনের অধীনে এই প্রকল্পে যুক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ে।

উপসংহার

চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এই নতুন সংযুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন দিক উন্মোচন করছে। ভারতের উদ্বেগ যে অমূলক নয়, তা এই পদক্ষেপেই স্পষ্ট। আগামী দিনে এই প্রকল্প কতদূর এগোবে, আর ভারত কিভাবে তার কৌশল সাজাবে, তার উপর নির্ভর করবে গোটা অঞ্চলের ভবিষ্যৎ ভারসাম্য।


📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: skmdsamimsms@gmail.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ