এবার কোনওরকম ‘আপগ্রেডেশন’ ছাড়াই ছোট পণ্যবাহী গাড়ি বা যাত্রীবাহী ভাড়ার গাড়ি চালাতে পারবেন ছোট গাড়ির লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকরা।
![]() |
ছোট গাড়ির চালকদের জন্য সুখবর |
এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।বুধবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল, LVM অর্থাৎ হালকা মোটর যান চালকের লাইসেন্সপ্রাপ্তরা এবার থেকে পণ্যবাহী গাড়ি এবং যাত্রীবাহী ভাড়ার গাড়িও চালাতে পারবেন ।
![]() |
গাড়ির লাইসেন্স নিয়ে সুপ্রিম রায় শীর্ষ আদালতের সুপ্রিম কোর্ট ।
আদালতের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ অনুসারে এবার থেকে পণ্যবাহি গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চালকের ভারী জনের লাইসেন্স থাকা আবশ্যিক নয়। তাই এবার থেকে ছোট চাকার গাড়ির লাইসেন্স থাকলেও বিনা বাধায় পণ্যবাহী গাড়ি চালানো যাবে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীনপাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
যদিও এক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। জানা যাচ্ছে এবার থেকে ভারতের রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ওই সমস্ত গাড়ির ওজন যদি ৭ হাজার কেজির কম হয় তাহলে সেই গাড়িকে ছোট গাড়ি হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। আমাদের দেশে গাড়ির ধরন অনুযায়ী চালকদের বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স রাখতে হয় ।
তা সে গিয়ারবিহীন চক্রযান অর্থাৎ স্কুটার হোক কিংবা বাইক অথবা চার চাকার ছোট গাড়ি কিংবা ভারী পণ্য বাহি গাড়ি। সব ক্ষেত্রেই লাইসেন্সের ধরণ আলাদা হয়ে থাকে। এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর পাঁচ ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। এই মামলার রায় দিয়ে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় জানিয়েছেন, যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ের গাড়িতে কাটান, ‘তাঁরা আদালতের থেকে উত্তর চাইছেন। শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত কারণে তাঁদের অভিযোগগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না।
ছোট চার চাকার গাড়ি চালানোর লাইসেন্সে পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর কারণে মালিকরাই গা়ড়ি বিমার টাকা পাওয়ার সমস্যায় পড়তেন। এই ধরনের অভিযোগ মিলতেই প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয়েছিল মামলা। পরে ২০২২ সালে মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়।
তবে সেক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ওজনের সীমা। LVM লাইসেন্সধারীরা ৭,৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের পণ্যবাহী গাড়ি চালাতে পারবেন। মানে পণ্য এবং গাড়ির সম্মিলিত ওজন ৭.৫০০ কেজি না ছাড়ালে আলাদা করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে না। লাইটওয়েট (ছোট গাড়ির) ভেহিকেল চালানোর লাইসেন্স থাকলেই চলবে।বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিমা, বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র এদিন জানান, পথ নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর সমস্যা৷ শুধু ভারতেই সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ১.৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু কোনও তথ্য বা কোনও অভিজ্ঞতাই প্রমাণ করতে পারেনি যে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী LVM লাইসেন্সধারীরা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মালবাহী যানবাহন চালানোর জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা শুধুমাত্র সেই সমস্ত যানের ক্ষেত্রেই --- যেগুলোর ওজন ৭,৫০০ কেজির বেশি।এর আগে 2017 সালেও একইরকমই রায় দিয়েছিল "সুপ্রিম কোর্ট"। বস্তুত সেই সিদ্ধান্তেই অনড় রইল শীর্ষ আদালত। এর মধ্যে কেন্দ্র সরকারও মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে। এই মামলার শুনানি চলাকালীনই অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি আদালতে জানিয়েছেন, ভেহিকেল আইন সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ। যদিও এই "সংশোধনীগুলো" এখনও সংসদে পাশ করানো যায়নি।
পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চালকের ভারী যানের লাইসেন্স থাকা "আবশ্যিক" নয়। ছোট চার চাকার গাড়ির লাইসেন্স থাকলেও চালানো যাবে পণ্যবাহী গাড়ি কোন বাধা থাকলো না । বুধবার এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পণ্য বোঝাই না করা অবস্থায় ওই গাড়ির ওজন সাড়ে সাত হাজার কেজির কম হতে হবে। মাঝারি মাপের ট্রাকও এর আওতায় পড়বে।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ