পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান শহরের বাহিরসর্ব মঙ্গলাপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ বজলুর রহমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে থানা।
![]() |
প্রতীকী ছবি |
বর্ধমান শহরের বাহিরসর্ব মঙ্গলাপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ বজলুর রহমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে থানা। আদালতে বজলুর জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মহম্মদ ওয়াসিম রহমান বেকার। তিনি তাঁর চাকরির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। পার্টির প্রাক্তন যুব নেতা হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে অমিতাভর পরিচয় ছিল। তিনি কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র নামে একটি সংস্থায় তাঁর বড় ছেলের চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বলে বজলুরকে জানানো হয়। তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে চাকরির জন্য ধৃত অমিতাভ।
বর্ধমান শহরের বাহিরসর্ব মঙ্গলাপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ বজলুর রহমান বলেন অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে অভিযুক্তকে জানান বজলুর। চাকরি হলে মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন মিলবে বলে টোপ দেওয়া হয় তাঁকে। তাতে বিশ্বাস করে কয়েক দফায় অমিতাভকে ৭ লক্ষাধিক টাকা দেন বজলুর। চাকরির জন্য ওয়াসিমের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র নেওয়া হয়। তাঁকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করানো হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চাকরি প্রাপকদের একটি তালিকা পাঠানো হয় ২০২৩ সালে বজলুরকে । তাঁকে ফের ছবি ও সচিত্র পরিচয়পত্র পাঠানোর জন্য বলা হয়। তিনি তা পাঠান। ওয়াসিমকে আশ্বাস দেওয়া হয় খুব শীঘ্রই তাঁর চাকরি হয়ে যাবে বলে। কিন্তু, দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তাঁর চাকরি হয়নি। এর পরেই সংস্থার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেন বজলুর। তিনি জানতে পারেন, ওই সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বহু ছেলেমেয়ের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাকা হাতানোর পিছনে একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তিনি টাকা ফেরত চান। যদিও তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এর পরেই তিনি সিজেএম আদালতে মামলা করেন।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ