শিক্ষক বদলি যে কোন জেলায় মাধ্যমিক স্তরে রাজ্যকে পুণ্য ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের
যে কোনো জেলাতেই বদলি করা যাবে মাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষকদের ৷ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পণ্য ক্ষমতা দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ খারিজ হয়ে গেল বদলির বিরোধিতা করা সরকারি শিক্ষকদের আবেদন জয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ৷ ফলে এখন থেকে রাজ্য শিক্ষক দপ্তর চাইলে সেকেন্ডারি স্কুলের যে কোন সরকারি শিক্ষককে যেকোনো জেলার যে কোন স্কুলে বদলি করতে পারবে ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আনা নতুন রুল কে প্রাধান্য দিয়েই বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷ 2017 সালের আগে কাজে যোগ দেওয়া সহকারী শিক্ষকরা বারবার আবেদন করলেও লাভ হয়নি রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে এতদিন আদালতে প্রায় কিছুই বলতেই হলো না। তার আগেই মামলা খারিজ করে দিল বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মহেশ্বরী। এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ ৷
সুপ্রিম কোর্ট |
২০১৭ সালে এক সংশোধনী ও মাধ্যমে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন আইন ১৯৯৭ এ একটি ধারা (১০সি) যুক্ত করে রাজ্য সরকার ৷ সেই ধারা অনুযায়ী গভারমেন্ট এই ডেট এবং Government স্পন্স রুট স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের দূর দূরান্তের বদলি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ ৷ মামলা কারীদের দাবি কেউ হয়তো চাকরি করছেন কলকাতায় থাকে হঠাৎ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাকদ্বীপে । আবার কাউকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হচ্ছে মালদা বা মুর্শিদাবাদে ৷ অর্থাৎ ঘরের কাছের স্কুল কিংবা যেখানে কাজের যোগ দিয়েছিলেন সেখানে থেকে বহু দূরে বহু বহু দূরে তাই সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেন সরকারি শিক্ষকদের সংগঠন সেকেন্ডারি টিচার্স এন্ড এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশন ৷ তাদের আইনজীবী হিসেবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের সওয়াল করেন পথিক ধর সঙ্গে ছিলেন ভারত সিংহ হানিয়া রাজ্য সরকার তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনার হয়ে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী, জয়দীপ গুপ্ত এবং কুনাল চট্টোপাধ্যায় ৷ ছাওয়াল করতে গিয়ে বারবারই বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বদলির বিরোধিতা করা শিক্ষকদের আইনজীবীকে যদিও প্রতীক শারদরা একাধিকবার বলেন আমাদের আরজি একটাই আইনের নতুন রুল যুক্ত হওয়ার আগে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের নিয়োগকর্তা ছিল স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং সেই নিয়োগ পত্রের কোথাও বদলির কথা কথা উল্লেখ নেই ২০১৭ সালে ৷ তাই তারপর যারা কাজে যোগ দিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বদলির নিয়মটি কার্যকর হোক বাস্তবিকই আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া ক্ষমতা ছিল স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে। কিন্তু বর্তমানে সেই দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহকারী শিক্ষকদের জবাব শুনে বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সাব জানান নিয়োগকর্তার যেই হোক তা নিয়ে আপত্তি তোলার অধিকার নেই ৷ সরকার চাইলে নতুন রুল আনতেই পারে ৷ তাছাড়া এভাবে শিক্ষকদের সংগঠন আবেদন কেন করেছে ? বদলির ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট কারো প্রকৃতি অসুবিধা থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে আবেদন করতেই পারে কিন্তু এইভাবে জোট বদ্ধ হয়ে কেন আবেদনকারী এশিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অনিমেষ হালদার পরে তিনি বলেন কলকাতা হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্ট যদিও রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করবো কার্যকর না করা হয় প্রয়োজনে রিভিউ পিটিশন ও করা হতে পারে
৷৷ সংবাদ সুত্রে খবর ৷৷
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ