📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।

ব্লউ হোয়েলের থাবা এ বার পূর্ব বর্ধমানে৷ তবে এ ক্ষেত্রে কোনও কিশোর নয় , ওই গেমের শিকার এক কলেজ ছাত্র৷

ব্লউ হোয়েলের থাবা এ বার পূর্ব বর্ধমানে৷ তবে এ ক্ষেত্রে কোনও কিশোর নয় , ওই গেমের শিকার এক কলেজ ছাত্র ৷


১৩ ধাপ খেলে শেষরক্ষা গুসকরার কলেজ পড়ুয়ার এই ভয়ঙ্কর গেম নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। এইসব ভিডিও দেখানো আইনত বাধা থাকার জন্য দেখাতে পারলাম না ৷

ব্লউ হোয়েলের থাবা এ বার পূর্ব বর্ধমানে৷ তবে এ ক্ষেত্রে কোনও কিশোর নয় , ওই গেমের শিকার এক কলেজ ছাত্র৷ গিয়াসুদ্দিন শেখ নামে ওই ছাত্র গুসকরা কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া৷ গেমের ১৩ তম পর্যায়ে পৌঁছলে বিষয়টি জানাজানি হয়৷ কলেজের শিক্ষক -শিক্ষিকা ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই ছাত্রকে মারণঘাতী খেলার হাত থেকে সরানো গিয়েছে৷ তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়ান্ত করেছে পুলিশ ৷

পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানিয়েছেন৷ পুলিশ সুপার বলেন

জেলায় ব্লু হোয়েল গেমের ঘটনা এই প্রথম৷ স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুলিশের বড় কর্তারা৷ বাজেয়ান্ত মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের কাছে তা পাঠানো হবে বলে জেলার পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানিয়েছেন৷ পুলিশ সুপার বলেন , ‘আমাদের জেলায় এটাই প্রথম ঘটনা৷ আমরাও চিন্তিত৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা , স্কুলে সচেতনতার প্রচার শুরু করেছি৷ কিছুটা সেই কারণেও এদিন মারণ গেমে আসক্ত ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ৷


ওই ছেলেটিকে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করা হবে৷ কোনও সমস্যায় পড়লে ছাত্রটির পরিবারের পাশে থাকবে পুলিশ৷ ’ গুসকরা কলেজের প্রাতঃ বিভাগের ইনচার্জ রঞ্জন পাল বলেন ‘আমরা এদিন বিষয়টি কলেজেরই এক শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারি৷ পরে ছেলেটিকে অফিসে এনে কাউন্সেলিং করেছি৷ পুলিশও দীর্ঘ সময় ছেলেটির সঙ্গে কথা বলেছে৷ পরিবারের লোকেদের হাতে ছেলেটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ ’ কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে , বুধবার দর্শনের ক্লাস চলাকালীন পিয়ালী মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকা গিয়াসউদ্দিনের কাছে পড়ার বিষয়ে জানতে চান৷ কোনও জবাব দিতে না পারায় গিয়াসউদ্দিনকে পড়াশোনায় মন দিতে বলেন ওই শিক্ষিকা ৷


এর পরই ক্লাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন গিয়াসউদ্দিন৷ গুসকরা কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক সুমন্ত্র চন্দ বলেন , ‘আমরা ছেলেটিকে অফিস রুমে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি৷ তখনই মানসিক ভাবে সে বিপর্যস্ত বলে আমাদের জানায়৷ আত্মহত্যা করার কথাও বলে৷ কারণ জানতে চাওয়ায় ও ব্লু হোয়েল গেমের কথা আমাদের জানায়৷ ’ গুসকরা কলেজের টিচার ইনচার্জ সুনন্দা মণ্ডল বলেন , ‘গুসকরা বিট অফিসের পুলিশও ছেলেটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলে৷ ’


এদিন কলেজ থেকে গিয়াসউদ্দিনকে বন নবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তাঁর বাবা আবদুল হোসেন ও দাদা মহসিন শেখ৷ সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়৷ হাসপাতালে বসে গিয়াসউদ্দিন বলেন , ‘৬ অগস্ট আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে৷ সেখানে লেখা ছিল , আমি বেশ কিছু টাকা পেয়েছি৷ সব তথ্য জমা করলে সেই টাকা আমাকে দেওয়া হবে৷ কয়েক দিন পর ফের একটা এসএমএস আসে৷ সেখানে আমার সমস্ত তথ্য দিই৷ এর পর আমাকে একটি ৬ সংখ্যার ফোন থেকে জানানো হয় , আমি চ্যালেঞ্জার গেমের জন্য নির্বাচিত হয়েছি৷ প্রতিদিন রাত ২টো ২০ মিনিটে আমার মোবাইলে আসা একটি লিঙ্ক খুলতে হবে৷ ’এর পর শুরু হয় খেলা৷ কেমন সে খেলা ? গিয়াসউদ্দিন বলেন --


প্রথম লেবেলেই আমাকে হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে একটি তিমির ছবি আঁকতে বলা হয়৷ আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে বলা হয় , একটা পুকুরে দেড় মিনিট সাঁতার কাটতে হবে৷ ’ প্রতিটি খেলার ক্ষেত্রেই সেলফি তুলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এ ভাবেই একটি পর একটি কঠিন থেকে কঠিনতর খেলার নির্দেশ আসতে থাকে গিয়াসউদ্দিনের মোবাইলে৷ প্রতিটি খেলাই নির্দেশ মেনে পালন করার পর এক সময় বেঁকে বসেন গিয়াসউদ্দিন৷ বলেন , ‘আমি সবগুলিই ওদের নির্দেশ মতো করছিলাম৷ কী করছি না করছি , খেলার সময় তার কিছুই মনে থাকত না৷ একটা ঘোরের মধ্যে থাকতাম৷ মাথায় খুব যন্ত্রণা হত৷ এ ভাবেই আমি ১২ লেবেল পেরিয়ে যাই৷ গত ৯ সেপ্টেম্বর আমাকে বলা হয় , একটা সরু লম্বা গাছের মগডালে উঠে দুটো পা দড়ি দিয়ে বেঁধে মাথা নীচের দিকে ঝুলিয়ে সেলফি তুলে পাঠাতে হবে৷


আমি পারব না বলে দিই৷ তখন আমাকে বলা হয় , এটা করলেই প্রথম পর্যায়ের একটা ভালো পরিমাণ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে৷ কিন্ত্ত তাতেও আমি রাজি হইনি৷ ’ গিয়াসুদ্দিন জানান , এর পর থেকে শুরু হয় প্রাণনাশের হুমকি৷ এসএমএস পাঠিয়ে তাঁর পরিবারের লোককে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়৷ তিনি বলেন , ‘আমার সমস্ত তথ্য ওদের কাছে রয়েছে জানিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ আমি এতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম৷ কী করব বুঝতে পারছিলাম না ৷


এদিন সকালে ক্লাসে ম্যাডাম বকাঝকা করার পরই আমি ভেঙে পড়ি৷ ’ দাদা মহসিন শেখ বলেন , পুলিশ ও কলেজের শিক্ষকদের জন্য আজ আমার ভাই প্রাণে বেঁচে গেল৷


বাড়ি ফেরার পথে গিয়াসউদ্দিন বলে ‘আমার মতো বিপদে যেন আর কেউ না পড়ে৷ ’মোবাইল গিয়েছে পুলিশের হাতে৷ গিয়াসউদ্দিন গিয়েছেন হাসপাতালে সুত্রঃ   বিশেষ সংবাদ মাধ্যম ৷

📢 আমাদের খবর গোদি মিডিয়াদের মতো পোপাগন্ডা করে না।


আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group. 📢 ব্রেকিং নিউজ: আজকের সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন!
Author Image

Writer[samim]

আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

📧 ইমেইল: skmdsamimsms@gmail.com

🌐 ওয়েবসাইট: Breaking News Todays

🔵 Facebook | 🐦 X handle | 📸 Threads

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ