দক্ষিণবঙ্গ
বাথরুম থেকে কিশোরের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আনন্দপুরে এরাজ্যে
বিঃদ্রঃ বাড়ির বাচ্চাদের একটু লক্ষ্য রাখুন ব্লু হোয়েল স্বীকার না হয় জনসার্থে প্রচারিত .
‘ব্লু হোয়েল’ গেমের প্রথম শিকার পশ্চিম মেদিনীপুরে! বিএনএ, মেদিনীপুর: শনিবার আনন্দপুরে নিজের বাড়ির বাথরুমেই মুখে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট জড়ানো অবস্থায় এক কিশোরের দেহ উদ্ধার হল। ‘ব্লু হোয়েল’ নামে একটি গেমের টাস্ক পূরণ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অঙ্কন দে(১৬)। সে আনন্দপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। শ্বাসরুদ্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। দুর্ঘটনাবশত এই মৃত্যু বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে এখনও অবধি কোনও ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমসের কোনও সম্পর্ক আমরা পাইনি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ছাত্রের বাবা গোপীনাথ দে’র কেবল ব্যাবসা আছে, রয়েছে ঘড়ি, টিভি সারাইয়ের দোকানও। তাঁর একটিই ছেলে। এদিন দোতলায় বাথরুমে স্নান করতে যায় ওই ছাত্র। দীর্ঘক্ষণ পরেও বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় ডাকাডাকি শুরু হয়। কিন্তু, কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঢোকে পরিবারের লোকজন। এরপরেই বাথরুমে মুখে প্ল্যাস্টিক জড়ানো অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের আত্মীয় তথা কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের অনুমান কোনও অনলাইন গেমের কোনও স্টেপ পার করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এদিন ওই ছাত্রের মা শম্পা দে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মৃতের বাবা বলেন, কী থেকে এরকম হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না।
![]() |
প্রতিকী ছবি |
বিঃদ্রঃ বাড়ির বাচ্চাদের একটু লক্ষ্য রাখুন ব্লু হোয়েল স্বীকার না হয় জনসার্থে প্রচারিত .
‘ব্লু হোয়েল’ গেমের প্রথম শিকার পশ্চিম মেদিনীপুরে! বিএনএ, মেদিনীপুর: শনিবার আনন্দপুরে নিজের বাড়ির বাথরুমেই মুখে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট জড়ানো অবস্থায় এক কিশোরের দেহ উদ্ধার হল। ‘ব্লু হোয়েল’ নামে একটি গেমের টাস্ক পূরণ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অঙ্কন দে(১৬)। সে আনন্দপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। শ্বাসরুদ্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। দুর্ঘটনাবশত এই মৃত্যু বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে এখনও অবধি কোনও ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমসের কোনও সম্পর্ক আমরা পাইনি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ছাত্রের বাবা গোপীনাথ দে’র কেবল ব্যাবসা আছে, রয়েছে ঘড়ি, টিভি সারাইয়ের দোকানও। তাঁর একটিই ছেলে। এদিন দোতলায় বাথরুমে স্নান করতে যায় ওই ছাত্র। দীর্ঘক্ষণ পরেও বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় ডাকাডাকি শুরু হয়। কিন্তু, কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঢোকে পরিবারের লোকজন। এরপরেই বাথরুমে মুখে প্ল্যাস্টিক জড়ানো অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের আত্মীয় তথা কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের অনুমান কোনও অনলাইন গেমের কোনও স্টেপ পার করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এদিন ওই ছাত্রের মা শম্পা দে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মৃতের বাবা বলেন, কী থেকে এরকম হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না।
প্রাথমিকভাবে যে গেমটির নাম উঠে আসছে তা হল ‘ব্লু হোয়েল’। এই গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল কমপ্লিট করতে হয়। সমস্ত লেভেল ও তার টাস্কগুলি বেশ ভয়ঙ্কর। গেমের শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন নয়, পরিবর্তে বেশ মজারই। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু, পরবর্তীকালে পরের পর্যায়গুলি অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ ঘটাচ্ছে। সারা বিশ্বে আত্মহত্যার জন্য এই গেমকে অনেকেই দায়ী করেছেন। মৃত ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, বাবার দোকানে কম্পিউটারে বসে গেম খেলার অভ্যাস ছিল অঙ্কনের। শুভ্রাদেবীও সে কথা স্বীকার করেছেন। এমনকী অঙ্কনের বন্ধুরাও তার এই গেম খেলার কথা জানিয়েছে। এখন বাস্তবে ওই ঘটনার সঙ্গে এই গেমের কোনো ও সম্পর্ক আছে কী না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ