রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ‘পাল্টা আক্রমণ’
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তাদের সামরিক কার্যক্রম জোরদার করেছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এবং অবকাঠামোগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা এটিকে একটি "পাল্টা আক্রমণ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সক্রিয়তারই আরেকটি উদাহরণ।
![]() |
ফাইল চিত্র |
কী ঘটছে কুরস্কে?
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর রোমান স্তারোভয়েত এক বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেনের বাহিনী আর্টিলারি এবং ড্রোন ব্যবহার করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং সামরিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, কুরস্ক অঞ্চলে হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাশিয়ান সেনা ঘাঁটি এবং সরবরাহ লাইন অন্তর্ভুক্ত ছিল। হামলার পর এলাকাজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন :
ইউক্রেনের উদ্দেশ্য
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে ইউক্রেন তাদের যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থানকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, দেশটি রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুনর্দখলের জন্য আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছে। কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সীমান্তে ব্যস্ত রাখার কৌশল অবলম্বন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া এই ঘটনাকে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আক্রমণকে "উস্কানিমূলক" আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাদের বাহিনী প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই হামলার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়ে বলছে, এটি তাদের নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার একটি অংশ। অন্যদিকে, রাশিয়ার মিত্ররা এই হামলাকে অপ্রয়োজনীয় উস্কানি হিসেবে দেখছে।
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
কুরস্ক অঞ্চলে সংঘর্ষের এই বৃদ্ধি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পাল্টা আক্রমণ যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলা প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে, যেখানে ইউক্রেন পাঁচ মাস ধরে এলাকা দখল করে রেখেছে। উত্তর কোরিয়ার সেনারা রুশ বাহিনীকে সমর্থন করেছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেনের পশ্চিমা যানবাহনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার সহ লড়াই আক্রমনাত্মকভাবে অব্যাহত রয়েছে। এ বছর সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার জন্য উভয় পক্ষই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে গভীর প্রভাব ফেলেছে। কুরস্ক অঞ্চলের এই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিশ্বব্যাপী নজর কাড়ছে এবং যুদ্ধের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তুলছে।
![]() |
BREAKING NEWS TODAY'S |
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
0 মন্তব্যসমূহ