সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মাসে আড়াই হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে তাঁদের। মন্ত্রিসভার এই সবুজ সঙ্কেতের ফলে আগামী অক্টোবর মাস থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৫৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৮ হাজার টাকা। আগামী ১ অক্টোবর থেকেই বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এ জন্য রাজ্য কোষাগার থেকে বাড়তি ৩৯২.৩৯ কোটি টাকা খরচ হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়াও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের ৫০ হাজার আশা এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতাও বাড়বে অক্টোবর থেকেই।
 |
সিভিক ভলান্টিয়ার |
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত ওই ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন রাজ্যের ১ লক্ষ ২০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার। মন্ত্রিসভার এদিনের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তে যে শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়াররাই উপকৃত হচ্ছেন তা নয়, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সিং স্টাফদেরও জন্য পুজোর প্রাক্কালে সুখবর শুনিয়েছে সরকার। রাজ্যের সরকারি নার্সিং স্টাফদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করার সিদ্ধান্ত এদিন গ্রহণ করা হয়েছে। এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৩৫ হাজার নার্সিং স্টাফ। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে নার্সিং স্টাফের চাহিদা মেটাতেই অবসরের বয়স বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল এবং নতুন করে গড়া মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখন শয্যাসংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৯১টি। সেই নিরিখে ৫০ হাজার নার্সের প্রয়োজন পড়লেও, রাজ্যে এখন কিছু ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নার্সিং স্টাফের ঘাটতি মেটাতে একদিকে যেমন ২৭টি জেনারেল নার্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি (জিএনএম) স্কুল চালু করা হয়েছে, তেমনই কর্মরত নার্সদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে শয্যার সঙ্গে নার্সিং স্টাফের সংখ্যার একটা সাযুজ্য আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে, তাপবিদ্যুতের পাশাপাশি রাজ্যে জলবিদ্যুতের ব্যবহার আরও বাড়াতে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তুরগাতে পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্টের কাজটিতে ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের চন্দ্রিমাদেবী জানিয়েছেন, ৬৯২১.৯ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি। প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে পাম্প চালিয়ে হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে এই কেন্দ্রটি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পটির জন্য মোট ২৯২ হেক্টর জমি প্রয়োজন। তার মধ্যে ২৩৪ হেক্টরই ছিল বনাঞ্চল। পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পটির জন্য ওই জমির পরিবর্তে বনাঞ্চল নয়, এমন ২৩৪ হেক্টর জমির ব্যবস্থা গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই করে ফেলেছিল রাজ্য সরকার।
আপডেট পেতে, আমাদের সাথেই থাকুন ! পাশে থাকুন ৷ খবরের সাথেই থাকুন ! Breaking News Todays
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি: Facebook, Facebook page, Whatsapp Group.
Writer[samim]
আমি সামিম। গত ৮ বছর ধরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে কাজ করছি। রাজনীতি থেকে বিদেশি খবর,পশ্চিমবঙ্গের খবর, ক্রিকেট,পুর্ব বর্ধমানের খবর, ভাইরাল তথ্য থেকে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আমি আপডেট ও নির্ভুল খবর পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
📧 ইমেইল:
skmdsamimsms@gmail.com
🌐 ওয়েবসাইট:
Breaking News Todays
🔵 Facebook |
🐦 X handle |
📸 Threads
0 মন্তব্যসমূহ